





গত কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন ডালাপালা মেলছে ঢালিউড অভিনেতা বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে গাঁটছাড়া বাধছেন ঢালিউড কুইন অপুু বিশ্বাস।






এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে এই মুহূর্তে কোনোরকম পরিকল্পনাই নেই। যা ছড়িয়েছে বা ছড়ানো হচ্ছে সবই গুজব। খুবই দুর্বল গুজব। কারণ আমি এখন ছেলে ও ক্যারিয়ার নিয়ে বেশি মনযোগী।’
বিয়ের খবরটি তবে হঠাৎ করে ছড়ালো? এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বলেন, ‘আমি নিজেও জানি না। সামনে আমার ‘শ্বশুড়বাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবিটি মুক্তি পাবে। এখানে বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছি আমি। হতেও পারে আমাদের ভক্তরা আলোচনা তৈরি করতেই এ ধরনেই ‘ফান পোস্ট’ দিচ্ছেন ফেসবুকে।
সেখান থেকেই বিষয়টি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাপ্পীর সঙ্গে আমার বিয়ের খবর কিছু অখ্যাত গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। সেসব নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।
তবে কিছু প্রথমসারির গণমাধ্যমেও বিয়ের খবর প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি। সেটা নিয়ে বলবো ঘটনা ঠিক এমনটি নয় যেমনটি প্রকাশ হয়েছে। আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো লাইফ নিয়ে কী পরিকল্পনা আমার। আবারও কখনো বিয়ে করবো কী না।
উত্তরে বলেছিলাম একজন মানুষ হিসেবে জীবনটাকে তো বয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেজন্য হয়তো একটা আস্থা ও নির্ভরতার আশ্রয় আমার প্রয়োজন হতে পারে। বিয়ে হয়তো করতেও পারি কোনো একদিন। যদি করি তবে এবার মায়ের ইচ্ছেতে করবো। তার মানে এই নয় যে আমি এখনই বিয়ে করে ফেলছি বা বিয়ের জন্য পাত্র দেখা শুরু করে দিয়েছি।’
নায়িকা বলেন, আপাতত একমাত্র পুত্র আব্রাম খান জয়কে সময় দিচ্ছেন তিনি। তাকে মানুষ করে তোলাই এখন তার জীবনের ব্রত। ছেলের দেখাশোনা, পড়াশোনা সবকিছু সামলে যেটুকু সময় পান সেটুকু শোবিজের জন্য বরাদ্দ রেখেছেন। সিনেমা-বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম শো-তে অংশ নেন।
এদিকে শাকিব খানকে বিয়ের পর অপু বিশ্বাসের ধর্ম নিয়ে যে ধোঁয়াশা চলমান ছিলো তার ইতি টেনেছেন তিনি। নায়িকার ভাষ্য, ‘আমি হিন্দু ধর্মেই আছি। এবার আমি দূর্গা পূজা করবো। শাকিব তো আমাকে কাগজ-কলমে মুসলিম করেননি। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছিলাম ইসলাম ধর্ম।তবে বাবা-মার সঙ্গে থেকে তো আমি অন্য ধর্ম পালন করতে পারি না।’
অপুর দাবি, তিনি কোরআন শিখেছেন। পড়তেও পাড়েন। ধর্ম পালন নিয়ে অপু বলেন, ‘কাগজে-কলমে, মনে প্রাণে বা গরুর মাংস খেয়ে বা হজ্ব করে আমি নিজে মুসলিম হইনি। একজনকে ভালোবেসে মুসলিম ধর্মকে সম্মান দেখিয়েছি, আজও দেখাই। সব ধর্মের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা আছে।’